শনিবার দুপুরে মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ওয়েস্ট কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনের শিক্ষার্থীদের দুঘণ্টা রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখা হেমায়েত বাহিনীর স্মৃতি যাদুঘর পরিদর্শন ও মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে অংশ নিতে বাহিনীর প্রধান হেমায়েত উদ্দিনের আমন্ত্রণে মন্ত্রী কোটালীপাড়ায় আসেন।
দুপুর ২টায় মন্ত্রী পৌঁছালে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা তাকে ফুলে ছিটিয়ে স্বাগত জানায়।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি, কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র জয়ধর, সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমাউন কবীর, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী সরদার আব্দুল মালেক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মিকাইল উপস্থিত ছিলেন।
গত বছর ২৭ জানুয়ারি জনপ্রতিনিধিদের সংবর্ধনা দিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, জোর করে তাদের স্কুল থেকে এনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। এ সময় তাদের বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে বলেও জানায় তারা।
ওয়েস্ট কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন বলেন, “আয়োজকরা জোর করে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছে।”
এবিষয়ে হেমায়েত উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কোটালীপাড়ার সন্তান হেমায়েত উদ্দিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন।
বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলে তাঁর নেতৃত্বে যুদ্ধে অংশ নেওয়া হেমায়েত বাহিনী ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর কোটালীপাড়ায় পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাস্ত করে শত্রুমুক্ত করে।
স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করে। ১৯৯৬ সালের আগ পর্যন্ত অনেকটা সময় বিএনপির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।