শনিবার বিকালে এমনটাই জানিয়েছেন শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান আশরাফুল হক কাজল।
এই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে শিশুটির চিকিৎসা চলছে।
চিকিৎসক কাজল বলেন, “শিশুটিকে দেওয়া মায়ের দুধের পরিমাণ দুই মিলিলিটার থেকে বাড়িয়ে ৫ মিলিলিটার করা হয়েছে। শিশুটি তা গ্রহণ করছে এবং ভালোই আছে। যে ক্ষতস্থানে অপারেশন করা হয়েছে সেটির অবস্থাও আগের চেয়ে ভালো।”
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২৩ জুলাই বিকালে মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়ায় যুবলীগকর্মী কামরুল ভূইয়ার সঙ্গে সাবেক যুবলীগকর্মী মহম্মদ আলী ও আজিবরের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।
এসময় কামরুলের বড় ভাই বাচ্চু ভূঁইয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০) ও প্রতিবেশী মিরাজ হোসেন গুলিবিদ্ধ এবং তার চাচা আব্দুল মোমিন গুলিতে মারা যান।
ওই রাতেই মাগুরায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নাজমার গুলিবিদ্ধ শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। দুই দিন পর তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেলে সন্তানের কাছে আসেন নাজমা। তবে শনিবার পর্যন্ত সন্তানের মুখ দেখার সৌভাগ্য হয়নি মায়ের। তার বুকের দুধ সংগ্রহ করে শিশুটিকে দেওয়া হচ্ছে।
নাজমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ডাক্তার বলেছেন আমার বাচ্চাটি ভাল আছে। আপনারা দোয়া করবেন।”
শিশুটিকে সুস্থ করে তুলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসক কাজল।