অটোরিকশা চালকরা শনিবার সকালে সেতুটির উপর অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশের তৎপরতায় কিছু যান চলাচল করলেও তা সীমিত।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন শ্যামপুর থানার ওসি শেখ মোহম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।
দক্ষিণ কেরানিগঞ্জ থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেছেন, পোস্তগোলা দিয়ে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় বাবুবাজারে দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু দিয়ে পারাপার চলছে।
পোস্তগোলার বুড়িগঙ্গা (বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু) সেতুতে অটোরিকশার জন্য ২৫ টাকা হারে টোল নির্ধারণ হয় গত মে মাসে। এরপর গত সপ্তাহে চালকরা অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল।
শনিবার তারা পুনরায় সেতুর উপর অবস্থান নেয়। মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্তও এদিন কার্যকর হয়েছে, যার বিরোধিতাও রয়েছে অটোরিকশা চালকদের।
শ্যামপুর থানার এসআই মাহবুবুল হক বলেন, “অটোরিকশা চালকরা বলছেন, তারা পোস্তগোলা ব্রিজ পার করে যাত্রীদের কাছে ৩০ টাকা ভাড়া নেন, ২৫ টাকা হারে টোল দিলে তাদের হাতে কোনো টাকা থাকে না।”
পোস্তগলার সেতুটি বন্ধ থাকায় অনেক যানবাহন বাবুবাজারের সেতুটি ব্যবহার করায় সেখানে চাপ বেড়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মনিরুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকায় প্রচুর যানজট ও লোকজনের ভিড় হওয়ায় আমরা বাবুবাজার ব্রিজকে বাইপাস হিসেবে ব্যবহার করতে বলেছি।”