লামা উপজেলা হাসপাতাল পাড়া এলাকায় শনিবার ভোররাতে এই পাহাড় ধস ঘটে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদ জানিয়েছেন।
নিহতরা হলেন- সাজ্জাদ (৫), ফুতু (১০), আমেনা বেগম (৩৫), রোজিনা আক্তার (৩৪), বশির (৭০), আরাফাত (১৫), বশির (৭০) ও ফাতেমা আক্তার (৮)।
পাহাড় ধসের পর মাটিচাপা পড়া অবস্থায় চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে মেয়র আমির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান। তারা হলেন- সাজ্জাদ, ফুতু, আমেনা ও রোজিনা।
তখন আহত অবস্থায় আরাফাত ও দুলু মিঞা (৭০) নামে দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গুরুতর আহত আরাফাতকে চট্টগ্রাম পাঠানো হলে পথেই তার মৃত্যু হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ।
ধসের পর বশির ও ফাতেমার খোঁজ মিলছিল না। বিকালে তাদের লাশ মাটির নিচ থেকে উদ্ধার হয় বলে লামা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা প্রথমে উদ্ধারকাজ শুরু করে। তবে ভারী যন্ত্রপাতি না থাকায় কাজ ব্যাহত হচ্ছিল।
সকালে সেনাবাহিনীও উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয়। বশির ও ফাতেমার লাশ উদ্ধারের পর উদ্ধার অভিযান শেষ করা হয় বলে ইউএনও জানান।
গত এক সপ্তাহ ধরে টানা বর্ষণ চলছে বান্দরবানে। মাতামুহুরী ও সাঙ্গু নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।