সাকা-মুজাহিদের দণ্ড দ্রুত কার্যকর চায় জাগরণ মঞ্চ

যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2015, 07:38 PM
Updated : 31 July 2015, 07:38 PM

শুক্রবার বিকালে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক গণঅবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ দাবি জানান।

এ সময় ইমরান বলেন, “রায় কার্যকর প্রক্রিয়া যত দেরি হবে এই অপরাধীচক্র তাদের ষড়যন্ত্রের জাল তত বিস্তৃত করার সুযোগ পাবে।”

আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল থাকায় তা দ্রুত কার্যকরের দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চ এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

দেশবিরোধী অপরাধী চক্রের ‘ষড়যন্ত্র নস্যাৎ’ করতে দ্রুত যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীর সর্বোচ্চ শাস্তির রায় কার্যকর করার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন ইমরান।

বুধবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ মানবতাবিরোধী অপরাধে চট্টগ্রামের যুদ্ধাপরাধী বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে ১৬ জুন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের একই বেঞ্চ মুক্তিযুদ্ধকালে আল বদর বাহিনীর প্রধান আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।

তবে আপিল বিভাগ থেকে ঘোষিত এ দুটি রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি এখনও প্রকাশিত হয়নি।

ইমরান বলেন, “মুজাহিদের চূড়ান্ত রায় ঘোষিত হওয়ার দেড় মাসের বেশি সময় পার হয়েছে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ রায়টি এখনো প্রকাশিত হয়নি।”

শিগগির আপিল বিভাগ ঘোষিত এ দুটি রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশিত হওয়ার আশা প্রকাশ করে গণজাগরণ মঞ্চের এই মুখপাত্র বলেন, “পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া সুগম হবে।”

যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও দণ্ডিত অপরাধীদের পরিবারের সদস্যদের গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় নিয়ে আসারও দাবি জানান ইমরান।

“যাতে কোনো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করতে না পারে তার জন্যই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি প্রয়োজন।”