রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এতে ইসি সচিব, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে কমিশন জানিয়েছে।
এখন ভোটারদের হাতে লেমিনিটেডে পরিচয়পত্র রয়েছে। তবে স্মার্ট কার্ডে তিন স্তরে ২৫টির মতো নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড থাকবে।
জানতে চাইলে ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্মার্টকার্ড প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছি আমরা। ২ অগাস্ট (রোববার) প্রধানমন্ত্রীকে উন্নতমানের জাতীয়পত্র স্মার্টকার্ডের বিষয়ে উপস্থাপন করে সার্বিক দিক অবহিত করা হবে।”
সচিব জানান, নাগরিক স্মার্টকার্ড দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উপযুক্ত সময়ে তা জানানো হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করার সঙ্গে স্মার্টকার্ড বিতরণের এখন কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানান তিনি।
স্মার্টকার্ড প্রস্তুত ও বিতরণের লক্ষ্যে ফ্রান্সের অবার্থুর টেকনোলজিস নামে এক সংস্থার সঙ্গে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার চুক্তির ছয় মাসের মাথায় সার্বিক প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছে ইসি। ইতোমধ্যে স্মার্টকার্ডের নমুনা চূড়ান্ত করা ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজও শেষ হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, স্মার্ট আইডি কার্ড প্রস্তুত ও বিতরণের দায়িত্বে থাকবে ফ্রান্সের ওই সংস্থা। আর তা ভোটারদের হাতে পৌঁছাবে ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে।
বর্তমানে ৯ কোটি ৬২ লাখেরও বেশি নাগরিক ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এরমধ্যে ৯ কোটি ১৫ লাখের মতো ভোটারের হাতে লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে।
ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এতোদিন ধরে স্মার্টকার্ড প্রস্তুতে কাজ করেছি। এখন ফাইনাল পর্যায়ে রয়েছি। এখন সব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করবো।”
কোনো দিন-তারিখ এখই আগামভাবে ঘোষণা না দিলেও ‘শিগগির’ নাগরিকদের হাতে স্মার্টকার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
চলমান হালনাগাদ শেষে আগামী তিন বছরের মধ্যে আরো ৭২ লাখ নতুন ভোটার যোগ হবে ভোটার তালিকায়।
“সব নাগরিক যাতে নির্ভুল পরিচয়পত্র পান, তা মাথায় রেখে সঠিক তথ্য দিয়ে নিবন্ধিত হতে হবে। ভোটারদের এখন পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে, পরে আঠারোর কম বয়সীদেরও তা দেওয়া হবে।”
সেজন্যে নিবন্ধন হওয়ার বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান।
ইতোমধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র সরকারি-বেসরকারি সেবা নিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। সংশোধন-হারানো-নষ্ট হলে ১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন পরিচয়পত্র নিতে ফি দিতে হতে নাগরিককে।