ছিটমহলবাসীদের পরিকল্পনামন্ত্রীর অভিনন্দন

বাংলাদেশের নাগরিকের পূর্ণ মর্যাদা পাওয়ার প্রাক্কালে ছিটমহলের বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2015, 11:53 AM
Updated : 31 July 2015, 11:53 AM

শুক্রবার দুপুরে এক অভিন্দন বার্তায় তিনি বলেন, “ছিটমহলবাসীদের বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। তিনি নির্দেশ দিয়ে বলেছেন যে, এখন থেকে ছিটমহলবাসীরাও  এ দেশের নাগরিক। দেশের অন্যান্য নাগরিকদের সাথে তাদের কোনো পার্থক্য নেই।”

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী অচিরেই পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ছিটমহলবাসীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় প্রকল্প তৈরির কাজ হাতে নেবে। একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি  এ কাজের প্রয়োজনীয় তদারকি করবেন।

ভারত ও বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী, শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিটে ক্যালেন্ডারের তারিখ ১ অগাস্টে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হবে ছিটমহল বিনিময়।

এর ফলে বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ১৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৬৩ একর আয়তনের ভারতের ১১১টি ছিটমহল হবে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অংশ। অন্যদিকে ভারতের মধ্যে থাকা ৭ হাজার ১১০ দশমিক ০২ একর আয়তনের বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ভারতের মানচিত্রে মিলে যাবে।

এতদিন যে ছিটমহলের মালিক ছিল ভারত, সেখানে উড়বে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। একইভাবে ভারতের পতাকা উঠবে এতদিন বাংলাদেশের মালিকানায় থাকা ছিটমহলগুলোতে।

দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত এই সমস্যার অবসানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মানচিত্র পূর্ণতা পাওয়ার পথে এগিয়ে যাবে আরও এক ধাপ। মুক্ত জীবনের প্রত্যাশায় উন্মুখ হয়ে থাকা ছিটমহলগুলোতে চলছে সেই উৎসবের প্রস্তুতি।

শুক্রবার মধ্যরাতের পর বাংলাদেশে ছিটমহল শব্দটি ঠাঁই নেবে ইতিহাসের পাতায়। সীমান্তে আর কোনো জনপদকে ‘ছিটমহল’ হিসেবে পরিচিত হতে হবে না। বাসিন্দারা পাবেন নাগরিক সুযোগ সুবিধা, দেশের আর সবার মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন তারা।