বাড়ির মালিকের দাবি, খোকন মেম্বারের স্বজনরা তার ঘরে আগুন দিয়েছে।
তবে, পুলিশ এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
গত সোমবার সদরের বুড়িরহাট বাজারে মুখোশধারীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বুড়িরহাট বণিক সমিতি ও বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মজিবুর রহমান খোকন মেম্বার ও চানমিয়া বেপারীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
ওই ঘটনায় খোকন মেম্বারের স্ত্রী নাছরিন বেগম বাদী হয়ে ২৯ জুলাই ২১ জনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার প্রধান আসামি সদর উপজেলার দেওভোগ গ্রামের আব্দুল লতিফ মোল্যা।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পালং মডেল থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে একদল দুস্কৃতিকারী এ মামলার প্রধান আসামি আব্দুল লতিফের বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়।
তিনি জানান, ওই সময় আব্দুল লতিফ মোল্যা বাড়ি ছিলেন না। স্থানীয়রা টের পেয়ে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
“পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এর আগেই ঘরের একাংশ পুড়ে যায়।”
এ ব্যাপারে পালং মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
গ্রামের আব্দুল খালেক মোল্যা বলেন, “গতকাল রাতে আমি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে এসে দেখি লতিফ মোল্যার বাড়িতে আগুন জ্বলছে।”
পরে তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন আসে এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয় বলে তিনি জানান।
আব্দুল লতিফ মোল্যা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, খোকন মেম্বারের উপর হামলা করে জখম করার প্রতিবাদে বুধবার সকালে বুড়িরহাট বাজারে বনিক সমিতি ও বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে মানববন্ধন চলছিল।
“ওই সময় খোকন মেম্বারের স্বজনেরা আমার বাড়িতে আগুন দেওয়ার কথা বলেছিল।
“আমার ধারণা খোকন মেম্বারের স্বজনেরা আমার ঘরে আগুন দিয়েছে।”
এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, “আব্দুল লতিফ মোল্যারা অন্যকে ফাঁসানোর জন্য নিজেরা নিজেদের ঘরে আগুন দিয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য আছে। এ ঘটনার জোর তদন্ত চলছে।”