ঝড় কেটে যাওয়ায় নৌ চলাচল শুরু

ঝড় কেটে যাওয়ায় আবহাওয়া অধিদপ্তর সংকেত কমিয়ে আনার পর অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষও (বিআউডব্লিউটিএ)নৌ চলাচলে সতর্কতা তুলে নিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকও চাঁদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2015, 05:29 AM
Updated : 31 July 2015, 11:16 AM

বৈরী আবহাওয়ার কারণে একদিন বন্ধ থাকার পর শুক্রবার সকাল থেকে সব নৌপথে শুরু হয়েছে লঞ্চ ও অন্যান্য নৌযান চলাচল।

ঢাকা সদরঘাটে বিআইডব্লিটিএ’র ট্রাফিক পরিদর্শক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান মাহফুজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “খারাপ আবহাওয়ায় নদী উত্তাল থাকায় গতকাল সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। আজ সকাল ৮টায় ওই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।”

বিআইডব্লিটিএ’র চাঁদপুর বন্দরের পরিবহন কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সতর্কতা উঠে যাওয়ার পর চাঁদপুর থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, শরীয়তপুরসহ ১৮টি রুটের লঞ্চ চলাচল আবার শুরু হয়েছে।

তবে বৃষ্টির কারণে ঘাটে যাত্রী সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম বলে আমাদের চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান।  

বৈরী আবহাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে বন্ধ থাকা চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে ফেরি চলাচলও আবার শুরু হয়েছে বলে চাঁদপুর হরিনা ফেরিঘাটের ম্যানেজার মো. ইমরান হোসেন জানান।

তিনি বলেন, “যেসব যানবাহন আটকে ছিল, সেগুলো নির্দিষ্ট গন্তব্যে রওনা হয়ে গেছে।”

এক দিন বন্ধ থাকার পর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার মধ্যেও ফেরি পারাপার শুরু হয়েছে।

রাজধানী ও দক্ষিণ জনপদের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথে শুক্রবার সকাল থেকে লঞ্চ ও অন্যান্য নৌযান চলাচলও শুরু হয়েছে বলে বিআইডব্লিটিএ’র আরিচা ঘাট কর্মকর্তারা জানান।

ঘূর্ণিঝড় কোমেন এগিয়ে আসায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বুধবার রাতে সংকেত বাড়িয়ে ৭ নম্বর করলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিটিএ।

এছাড়া উপকূলীয় জেলাগুলোতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন ফেরিগুলোও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়।

এই নির্দেশনার পর ঢাকার সদরঘাট, চাঁদপুর, মানিকগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শুক্রবার সকালে বিআইডব্লিটিএ’র মত সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরও ফেরি চলাচলে সতর্কতার আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়।

কোমেন রাতে সন্দ্বীপের কাছ দিয়ে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করার পর সকালে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়। এ কারণে  সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৭ ও ৫ নম্বর বিপদ সংকেতের বদলে ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তকর্তা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপকূলীয় জেলাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিলের যে আদেশ মন্ত্রণালয় দিয়েছিল, তাও প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে সার্বিক পিরিস্থিতি নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছে মন্ত্রণালয়।