মিল্কি হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার তানিম রিমান্ডে

ঢাকার যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যামামলায় গ্রেপ্তার তানজিম মাহমুদ তানিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2015, 07:18 PM
Updated : 30 July 2015, 07:18 PM

হত্যাকাণ্ডের এক বছর পর গ্রেপ্তার তানিমকে বৃহস্পতিবার ঢাকার আদালতে হাজির করে সাত দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।

শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন দুদিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। তানিমের পক্ষে জামিন আবেদন হলে তা নাকচ করেন তিনি।

ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্কিকে ২০১৪ সালের ৩০ জুলাই গুলশানে হত্যা করা হয়।

ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তানিমকে (২৮) বুধবার বাড্ডা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

মিল্কি হত্যাকাণ্ডের অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা আবারও সময় নিয়েছেন। নবম বারের মতো তাকে আগামী ১৮ অগাস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছে আদালত।

বাদীর ব্যক্তিগত আইনজীবী আবদুল্লাহ মনসুর রিপন বলে আসছেন, অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দেরি হওয়ায় মূল আসামিরা দেশের বাইরে পালিয়ে যাচ্ছে।

“এ মামলার তদন্ত যত দেরি হবে ততই পুলিশের স্পর্শকাতর ও অভিজাত এই বিভাগের প্রতিও অন্যান্য বিভাগের মতো আস্থা কমতে থাকবে।”

আসামিদের মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চলকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দেখা গেছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

দুজন সিআইডি কর্মকর্তার হাত ঘুরে এখন এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছেন উত্তম বিশ্বাস।

২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল মামলার র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক কাজেমুর রশিদ তদন্ত শেষে আদালতে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন।

মূল আসামিদের নাম অভিযোগপত্রে নেই দাবি করে মিল্কির ভাই রাশেদ হক খান অধিকতর তদন্তের ভার সিআইডিকে দিতে আবেদন করলে তা আদালতের সায় পায়।

জাহিদুল ইসলাম টিপু, ওয়াহিদুল আলম আরিফ, আহকামউল্লাহ, আমিনুল এহসান বাবু ওরফে টমেটো বাবু ওরফে ডিশ বাবু, মাহবুবুল হক হিরক, এনামুল হক ও মাসুম উদ্দিন আহমেদকে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করেন বাদী।

মিল্কির ভাই রাশেদুল যে মামলাটি করেছিলেন, তাতে আসামি হিসেবে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

তার মধ্য থেকে ছয় জনকে বাদ দিয়ে ১১ জনকে আসামি করে এক বছর আগে অভিযোগপত্র দেয় র‌্যাব।

ওই ১১ জনের মধ্যে যুবলীগের নেতা এস এম জাহিদ সিদ্দিকী তারেকের নামও ছিল। হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিনের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়ার পর র‌্যাবের কথিত বন্দকুযদ্ধে নিহত হন তিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, তারেকই মিল্কির খুনি। 

অভিযোগপত্রভুক্ত ১১ আসামি হলেন- মিল্কির স্ত্রী ফাহিমা ইসলাম লোপা, সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, মো. জাহাঙ্গীর মন্ডল,  শহীদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম ওরফে হাবিব, মো. সোহেল মামুন, চুন্নু মিয়া, আরিফ, ইব্রাহীম খলিলউল্লাহ, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ও শরীফুদ্দিন চৌধুরী পাপ্পু।