বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য অধিবেশন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকরা কিছু অসুবিধার কথা বলেছেন, যেগুলো প্রতিকারে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে তাদের জানানো হয়েছে।
“আমি তাদেরকে মামলা জট কমানোর জন্য বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (অল্টারনেটিভ ডিসপুট রেজুলেশন-এডিআর) পদ্ধতি গ্রহণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করার জন্য অনুরোধ করলাম। এটা প্রচারের জন্য জেলা প্রশাসক যেন তৎপর হন, সেই জন্যও তাদের অনুরোধ করলাম।”
গরিব মানুষের আইন সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমি তাদের বলেছি, লিগ্যাল এইডের বিষয়ে জনগণকে উৎসাহিত করেন ও প্রচারের জন্য তৎপর হন তাহলে জনগণ উপকৃত হবেন।”
মোবাইল কোর্টে আইনে সাজা পাওয়ার পর আসামিরা জামিন নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে, এ বিষয়ে ডিসিরা পদক্ষেপ নিতে বলেছেন কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, “ইতোমধ্যেই সে নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
সব নদীর সীমান্ত চিহ্তি করতে নির্দেশনা
বাংলাদেশের সব নদীর সীমানা চিহ্নিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য অধিবেশন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
নদী পথের বিভিন্ন সমস্যার কথা ডিসিরা বলেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আশুগঞ্জে বড় বন্দরের প্রস্তাবনা ছিল। ইতোমধ্যে আমরা আশুগঞ্জের জন্য ১৬৫ কোটি টাকা এবং জায়গা নির্ধারণ করেছি।
“দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরের সমস্যার কথা তারা বলেছেন, আমরা বলেছি কাজগুলো আমরা করবো।”
ডাকাতিয়া ও আড়িয়াল খাঁ নদীসহ বেশ কয়েকটি নদী খননের কথা ডিসিরা বলেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “ড্রেজারের কথা তারা বলেছেন, আমরা ড্রেজার সংগ্রহ করছি আরো করবো।
“২৪টি নৌরুট ড্রেজিং করার অর্থ আমরা পেয়েছি। কিন্তু আমাদের ড্রেজার স্বল্পতার জন্য তা হচ্ছে না।”
গত মেয়াদে ১১টি ড্রেজার কেনা হয়েছে এবং এই বছরে আরো ২০টি কেনার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
নদী দখল প্রবণতা দূর করার জন্য সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড প্রচারে জনগণের সামনে তুলে ধরতে ডিসিদের বলা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।