‘পুলিশের গড়িমসিতে’ ধর্ষণের আলামত নষ্ট

যশোরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগকে গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে।

যশোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2015, 03:23 PM
Updated : 30 July 2015, 03:23 PM

ওই ঘটনায় সদর থানাধীন নরেন্দ্রপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই নাজমুল হোসেনকে বুধবার প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

এদিকে, দেরিতে ডাক্তারি পরীক্ষায় পাঠানোর কারণে ধর্ষণের যথেষ্ট প্রমাণ না মেলায় অন্যান্য আলামত পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

পরে, ধর্ষণের অভিযোগে মারুফুল ইসলাম নামের এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

কোতোয়ালি থানার ওসি শিকদার আককাছ আলী বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ গুরুত্ব না দেওয়ায়  নরেন্দ্রপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ নাজমুলকে বুধবার রাতেই পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।

“এছাড়া বুধবার গভীর রাতে শহরের মনিহার এলাকা থেকে মারুফুলকে আটক করা হয়েছে।”

স্বজনদের বরাত দিয়ে ওসি জানান, গত রোববার সন্ধ্যায় মাদ্রাসা পড়ুয়া এক কিশোরী (১৩) তার ছোটভাইকে নিয়ে মুদি দোকানে মালামাল আনতে যায়।

তখন নরেন্দ্রপুর শেখপাড়ার আসাদ আলীর ছেলে গ্যারেজ মিস্ত্রি মারুফুল ইসলাম তাকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে।

পরে খবর পেয়ে স্থানীয়রা মেয়েটিকে উদ্ধার এবং মারুফুলকে আটক করে।

ওসি আরও বলেন, এরপর দিন মেয়েটির বাবা নরেন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে ঘটনাটি জানালেও

পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

“মেয়েটির বাবা অভিযোগ করেন, পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ নাজমুল ইসলাম বিষয়টিতে গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো সাদা কাগজে তার স্বাক্ষর নিয়ে নেন।”

ওসি বলেন, বুধবার সকালে ওই কিশোরীর বাবা মেয়েকে নিয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হকের কাছে গিয়ে ঘটনা জানালে তিনি বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন।

এরপর মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয় বলে জানান ওসি।

যশোর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. হুসেইন সাফায়েত বলেন, কিশোরীর শরীরে ‘সেক্সুয়াল আঘাতের চিহ্ন রয়েছে’।

“তবে চারদিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ায় ধর্ষণের প্রধান আলামত পাওয়া যাবে না।”

তিনি বলেন, অন্যান্য আলামত নিয়ে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর বোঝা যাবে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না।