একদিকে বন্যা, অন্যদিকে বৃষ্টির জন্য মোনাজাত

দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারি বর্ষণ ও বন্যার সময়েই উত্তরের পঞ্চগড় উপজেলায় বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করছে কৃষকরা।

সাইফুল আলম বাবু পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2015, 01:30 PM
Updated : 30 July 2015, 01:30 PM

গত ১০ দিনে একদিন বৃষ্টি হয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় এ অঞ্চলে আমন ধানের আবাদ হুমকির মুখে রয়েছে বলে কৃষকরা আশংকা করছেন।

তবে, কৃষি বিভাগ তা নিয়ে শংকিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শ ম আশরাফ আলী বলেন, এ মাসের শুরুতে বৃষ্টিপাত হলেও গত ২১ জুলাই থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাত্র একদিন বৃষ্টি হয়েছে। ২৩ জুলাইয়ের ওই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল মাত্র ৭ মিলিমিটার।

“এ মাসে জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ২০৬ মিলিমিটার। কিন্তু বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন ছিল অন্তত ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ মিলিমিটার।”

আশরাফ আলী আরও বলেন, ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৭৯ ভাগ জমিতে আমন চারা লাগানো শেষ হয়েছে। এখনও আমন চারা লাগানোর যথেষ্ট সময় আছে।

এ নিয়ে কৃষকদের শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানান তিনি।

সদর উপজেলার মীরগড় নিজামউদ্দীন আহম্মদ বলেন, সব প্রস্তুতি নিয়েও কৃষকরা বৃষ্টির অভাবে জমিতে আমন আবাদ করতে পারছেন না। একই সঙ্গে সূর্যের প্রচণ্ড তাপে গা পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে।

সদর উপজেলার হাড়িভাষা খালপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলী জানান, যাদের পয়সা-কড়ি আছে তারা শ্যালো মেশিনে সেচ দিয়ে আমন আবাদ করছে। কিন্তু গরিব কৃষকরা আমন আবাদের জন্য আকাশের বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছে।

আমন চাষে পাঁচ বিঘা জমির জন্য বীজতলা প্রস্তুত করে রেখেছেন বলে জানান তিনি।

সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের মীরগড় জামে মসজিদের ইমাম সাদেকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় মসজিদের মুসল্লি ও স্থানীয় প্রায় কয়েকশ লোক বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

শুক্রবারও মীরগড়ের রেল স্টেশন জামে মসজিদে জুমার নামাজের পর বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আতাউর রহমান।