ইনশাআল্লাহ ক্ষতি হবে না: মন্ত্রী

ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ মোকাবেলায় সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2015, 10:45 AM
Updated : 30 July 2015, 01:24 PM

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জরুরি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশ পীর-আউলিয়ার দেশ। ইনশাআল্লাহ সে রকম কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না।”

ঘূর্ণিঝড় কোমেনের অগ্রভাগ বুধবার মধ্যরাতের পর সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূল ছুঁয়ে উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ ঘূর্ণিঝড় আরও পূব-উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বুধবার থেকেই চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৭ এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখানো হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, “যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলা করার মতো সম্পূর্ণ প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। উপরে আল্লাহ আর নিচে আমরা, সবাই সম্মিলিতভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করব।”

ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য খাদ্যের ঘাটতি নেই বলেও জানান তিনি।

ঘূর্ণিঝড়ের আগে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপরে কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “অল্প সময়ের মধ্যে ২৮৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে তিন লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। কোনো মানুষ ঘরে নেই। মানুষকে সতর্ক করার জন্য মাইকে ঘোষণা, পতাকা উড়ানো ও সাইরেন বাজানো হয়েছে। মানুষের জানমাল রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুতি প্রশংসার যোগ্য।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুতির বিষয়ে যোগাযোগ রাখছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে এমন ১৩ জেলায় উদ্ধার, জানমাল রক্ষা করা প্রস্তুতিসহ পরিকল্পনা মাফিক সব কাজ চলছে।”

দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন জেলায় আগাম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে আরও কী কী লাগবে আমরা জানতে চেয়েছি। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আজই ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।”

এক প্রশ্নের জবাবে মায়া বলেন, “জাতীয় দুর্যোগের সময় সেনাবাহিনী সরাসরি ভূমিকা রাখে। মানুষের উপকারে তাদের ভূমিকা কী, তা বলে দিতে হয় না। তারা তা নিজ দায়িত্বেই পালন করে।”