বৃহস্পতিবার ভোরে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে মোহাম্মদ ইসলাম (৫০) এবং দুপুরে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় নুরুল ইসলাম ফকির (৫৫) গাছচাপায় মারা যান বলে স্থানীয় প্রশাসন নিশ্চিত করেছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাতাস ও বৃষ্টির তীব্রতা বাড়তে থাকে। ভোরের দিকে ঝড়ো হাওয়ায় উপড়ে যাওয়া নারিকেল গাছের নিচে চাপা পড়ে মোহাম্মদ ইসলামের মৃত্যু হয়।
ঝড়ে সেন্টমার্টিনে অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও বহু গাছ উপড়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যাণকলস গ্রামে গাছচাপায় গুরুতর আহত হন নরুল ইসলাম।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয় বলে পটুয়াখালীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম জানান।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বুধবার থেকেই চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৭ এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখানো হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরও পূব-উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
স্থলভাগে ওঠার পর বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমশ দুর্বল হয়ে কোমেন স্থল নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়াবিদদের ধারণা।