ডিসি সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য, সংস্কৃতি এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশনে তথ্যমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ডিসিদের আমরা বলেছি, যুগ পাল্টেছে, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। যারা জনপ্রশাসনে আছেন তাদের গণমাধ্যমের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে হবে, গণমাধ্যম বান্ধব হতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী তার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে প্রশাসনকে একটি ‘কাচের ঘরে’ বসিয়ে দিয়েছেন মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সেখানে সবকিছুই দেখা যায়। সুতরাং যারা প্রশাসনে আছেন তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখতে হবে।”
অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “তথ্য সন্ত্রাস এবং অপসাংবাদিকতা রুখতেও জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছি।”
২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর পুর্তিকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসনকে ‘জাগরণযাত্রা’ শুরুর আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
“বাংলাদেশকে পুনঃআবিষ্কার করতে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে বলেছি। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বঙ্গবন্ধু কোথায় কোথায় পদচারণা করেছেন, সেই চিহ্ন ও তথ্যগুলো সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠাতে বলা হয়েছে।”
এছাড়া বাংলাদেশের ৫০ বছরের অর্জনের স্মারক এবং ‘বাংলাদেশ-উদ্ভবের সংগ্রামের চিহ্ন ও তথ্যগুলো’ এখন থেকেই ডিসিদের সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।
“এসব তথ্য-উপাত্তের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী আমরা উদযাপন করব, এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে নতুনভাবে আবিষ্কার করব এবং সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাব।”
তথ্য আইনের প্রয়োগ নিয়ে জেলা প্রশাসকরা তাদের অভিযোগের বিষয়গুলো জানিয়েছেন জানিয়ে ইনু বলেন, “এই ইস্যু ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ডিসিদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার তিন দিনের ডিসি সম্মেলন উদ্বোধন করেন। এ সম্মেলনের বিভিন্ন সেশনে মাঠ পর্যায়ের অবস্থা জেনে জেলা প্রশাসকদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন সরকারের নীতি নির্ধারকরা।