গত তিনদিনে কয়েক দফা সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সুলতানুল আজম খান জানান, মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এনামুল হকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
এ অভিযোগগুলো জানিয়ে তাদের বহিষ্কার চেয়ে গত ২৩ জুলাই দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখিত আবেদন করে জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা।
এদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় সাংসদ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, জেলা সভাপতি গোলাম মহীউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, পৌর মেয়র রমজান আলীসহ আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের ২৫ নেতা।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়। এর তিন দিন পর সভাপতি পদে সাদিকুল ইসলাম এবং সম্পাদক সাধারণ পদে এনামুল হকের নাম ঘোষণা করা হয়।
এর সাড়ে সাত মাস পর গত ২৩ জুলাই এ দুই নেতাসহ জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
সুলতানুল আজম খান বলেন, “নতুন কমিটিতে পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাপস সাহা ও সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ কাঙ্ক্ষিত পদ পাননি।”
“এ নিয়ে গত তিন দিনে দুপক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় হামলা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।”
তিনি বলেন, গত সোমবার দুপুরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে শুভেচ্ছা জানিয়ে সাদিকুল ইসলাম ও এনামুল হকের নেতৃত্বে জেলা কমিটির নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করার চেষ্টা করেন।
“এ সময় তাপস সাহার অনুসারীরা এতে বাধা দেন। তাদের সঙ্গে জেলা শ্রমিক লীগ ও জেলা ছাত্রলীগের আরেকটি অংশের নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। এক পর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।”
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হন বলে জানান সুলতান।
ওইদিনই বিকালে জেলা শহরের বেউথা এলাকায় সাদিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
তবে এ হামলায় জড়িত নন বলে দাবি করেছেন তাপস সাহা।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক জানান, মঙ্গলবার সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ ক্যাম্পাসে তার অনুসারী ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর উপর হামলা করা হয়। এতে ছাত্রলীগের ছয় কর্মী আহত হন।
তাপস সাহার নেতৃত্বে কতিপয় ছেলে এই হামলা করে বলে দাবি করেন তিনি।
এই অভিযোগও অস্বীকার করে তাপস সাহা বলেন, এনামুল হক নিজেই হামলার ঘটনা ঘটিয়ে তার ওপর দায় চাপাচ্ছেন।
এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ওসি আমিনুর রহমান জানান, এসব ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।