সাকাপুত্র চুপ

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাবার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের দিন বেশ হম্বিতম্বি দেখালেও আপিলের রায়ে তা বহাল থাকার পর সেই ধরনের আচরণ দেখা যায়নি যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2015, 01:09 PM
Updated : 29 July 2015, 04:00 PM

বাবার মতোই মুখে বাঁকা হাসি আর নানা টিপ্পনীতে সমালোচিত হুম্মাম বুধবার আপিলের রায়ের সময় এজলাসে ছিলেন না। তবে রায়ের পর তাদের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের কক্ষে দেখা যায় তাকে।

দুই বছর আগে ট্রাইব্যুনালে রায়ের দিন এজলাসে সালাউদ্দিন কাদেরের গোটা পরিবারই ছিল। নানা ধরনের হাসি-ঠাট্টা করতেও দেখা গিয়েছিল তাদের।  

ছোট ছেলে হুম্মাম সেদিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “তামশা দেখতে আইছি...ফুল গুষ্টিসুদ্ধা চইলা আইছি।”

তবে বুধবার বেশ উদাস দেখা যায় হুম্মামকে, সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথাও বলতে চাননি তিনি।

সাংবাদিকরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি শুধু বলেন, “আমার বাবা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী একজন নির্দোষ। আশা করি, এই জিনিসটা প্রমাণ হবে। একদিন না একদিন প্রমাণ হবে যে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী একজন নির্দোষ মানুষ।”

হুম্মাম কাদের চৌধুরীর এই ছবি ২০১৩ সালের অক্টোবর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায়ের দিনের

রায় নিয়ে যা বলার, তা খন্দকার মাহবুব হোসেনই বলবেন জানিয়ে নিজে আর কিছু বলেননি হুম্মাম।

খন্দকার মাহবুব এই রায়ে হতাশা প্রকাশ করে অনুলিপি পেলে রিভিউ আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।

হুম্মামের সঙ্গে বড় ভাই ফজলুল কাদের চৌধুরী ফাইয়াজ, চাচাত ভাই সামির কাদের চৌধুরীও ছিলেন, তারাও কোনো কথা বলেননি।

খন্দকার মাহবুবের সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা বেরিয়ে যান।

দণ্ডিত সালাউদ্দিন কাদেরের স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, মেয়ে ফারদিন কাদের চৌধুরীকে আদালত এলাকায় দেখা যায়নি। ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে রায়ের দিন তারা ছিলেন।