বুধবার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার পর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি আবার মনে করিয়ে দিয়েছে।
এতে বলা হয়, আগামী ২৪ নভেম্বরের পর সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ব্যবহার করতে হবে।
আইসিএও’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৫ নভেম্বরের পর পৃথিবীর কোনো দেশেই আর হাতে লেখা পাসপোর্ট গ্রহণ করা হবে না। ওই সিদ্ধান্তের কারণে ২০১০ সালের ১ এপ্রিল বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) তৈরি ও বিতরণ প্রকল্প শুরু করে।
চলতিবছর এপ্রিল পর্যন্ত এক কোটি পাঁচ লাখ লোকের হাতে এমআরপি পৌঁছে দেওয়া হয় বলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এন এম রেজাউল আলম সে সময় জানিয়েছেন।
হাতে লেখা পোসপোর্টের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে প্রবাসীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, সেজন্য নভেম্বরের আগেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত ৯১ লাখ বাংলাদেশিদের হাতে এমআরপি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে গত মার্চে আশা প্রকাশ করেছিলেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বুধবার বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে আসতে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয় সেজন্য সবাইকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট নিতে বলা হয়েছে।”
মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ, বিমান সচিব খোরশেদ আালম চৌধূরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।