তিনি বলেছেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালে যে চারটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, আপিলে তা বহাল আছে।
“এটিই আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম। এটিই আমরা আশা করেছিলাম। কারণ যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার ব্যাপারে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর যে ভূমিকা ছিল, সেটি ভয়াবহ। তার যদি আজকে এই সাজা না হত, প্রচণ্ড হতাশায় নিমজ্জিত হতাম।”
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বুধবার সাকা চৌধুরীর যুদ্ধাপরাধ মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে।
চট্টগ্রামের রাউজানে কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের মালিক নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা, সুলতানপুর ও ঊনসত্তরপাড়ায় হিন্দু বসতিতে গণহত্যা এবং হাটহাজারীর এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ছেলেকে অপহরণ করে খুনের চার অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকা চৌধুরীর সর্বোচ্চ সাজার আদেশ আসে।
রায়ের পর নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম।
তিনি বলেন, নয়টি অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দণ্ড দিয়েছিল। এর মধ্যে চারটি অভিযোগে তার মৃত্যুদণ্ড হয়। বাকি পাঁচটি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
“আপিল বিভাগ শুধু একটি অভিযোগে, যেটিতে ২০ বছর কারাদণ্ড হয়েছিল, সেটিতে অব্যাহতি প্রদান করেছে। বাকিগুলোতে ট্রাইব্যুনাল যে দণ্ড দিয়েছিল তা বহাল রাখা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সুলতান মাহামুদ সিমন রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “সমস্ত প্রক্রিয়া পালন করে এই বিচার সম্পন্ন হয়েছে। সাকা চৌধুরী তার বক্তব্যের সমর্থনে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি।
মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের (ফকা) চৌধুরীর ছেলে সাকা চৌধুরী হলেন চতুর্থ ব্যক্তি, আপিল আদালতে যার সর্বোচ্চ সাজার রায় এল।
নিয়ম অনুযায়ী, পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করতে পারবে আসামিপক্ষ।
রিভিউ আবেদনের নিষ্পত্তি হয়ে গেলে এবং তাতে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে আসামিকে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে। তিনি স্বজনদের সঙ্গে দেখাও করতে পারবেন।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়টি ফয়সালা হয়ে গেলে সরকার কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে।