আমি ফেলনা নই: রায় শুনে সাকা

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া ফাঁসির রায় রেডিওতে শুনে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী কাশিমপুর কারাগারের জেলারকে বলেছেন, তিনি ‘ফেলনা’ লোক নন; আইনের ‘সর্বোচ্চ লড়াই’ তিনি লড়বেন।

আবুল হোসেনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2015, 06:25 AM
Updated : 29 July 2015, 06:27 PM

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বুধবার এই রায় ঘোষণা করে।

২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকা চৌধুরী ২০১২সালের ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ বন্দি। সকালে জেলখানায় বসেই রেডিওতে নিজের সর্বোচ্চ সাজা বহাল থাকার রায় শোনেন এ যুদ্ধাপরাধী।

এ কারাগারের সুপার সুব্রত কুমার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল ৯টায় রায় হওয়ার পর জেলার মো. ফরিদুর রহমান রেজা সাড়ে ১০টার দিকে সাকা চৌধুরীর সেলে যান এবং রায়ের কথা জানান। এর আগে সাকা চৌধুরী রেডিওর মাধ্যমে নিজেও রায় শোনেন।”

কারাবিধি অনুযায়ী, কারাবন্দি আসামিরা তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক ব্যান্ডের রেডিও সঙ্গে রাখতে পারেন।

জেলার ফরিদুর রহমান রেজা বলেন, মৃত্যুদণ্ডের রায় শোনার পরও সাকা ছিলেন ‘হাসি-খুশি’।

“তিনি বলেছেন, তিনি আইনের সর্বোচ্চ লড়াই লড়বেন; রিভিউ আবেদন করবেন। বলেছেন, তিনি আশাবাদী, রিভিউয়ে ন্যায়বিচার পাবেন।”

“সাকা চৌধুরী আমাদের বলেছেন, ‘আমি দেশের জন্য, জনগণের জন্য রাজনীতি করেছি। আমিতো ফেলনা লোক নই। আজ হয়তো আমার কিছু কথার কারণে অনেকেই ক্ষুব্ধ। আজ আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।”

মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের (ফকা) চৌধুরীর ছেলে সাকা চৌধুরীর সর্বোচ্চ সাজার রায় এসেছে চট্টগ্রামের রাউজানে কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের মালিক নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা, সুলতানপুর ও ঊনসত্তরপাড়ায় হিন্দু বসতিতে গণহত্যা এবং হাটহাজারীর এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ছেলেকে অপহরণ করে খুনের চার অভিযোগে।

তবে এরশাদ আমালের এই মন্ত্রী নিজেকে ‘নির্দোষ’ এবং ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার’ বলে দাবি করেছেন জেলারের সামনে। সাকা দাবি করেছেন, তাকে ‘মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে’।

জেলার ফরিদুর রেজা বলেন, “এ রায়কে কেন্দ্র করে আমরা আগে থেকেই সজাগ রয়েছি। কারাগার এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।”