বুধবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীকে দেওয়া ট্রাইব্যুনালের ফাঁসির রায় বহাল রাখে।
গত কয়েকদিন ধরে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শাহবাগে অবস্থান নেওয়া ইমরান রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “এ রায়ের মধ্য দিয়ে সত্য ও সুন্দরের জয় হয়েছে। ১৬ কোটি মানুষের বিজয় নিশ্চিত হয়েছে।
তিনি বলেন, “এই রায়ের মাধ্যমে চক্রান্তের বিনাশ হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের প্রভাব খর্ব হয়েছে। এটা আজ আবার প্রমাণিত হয়েছে যে কোনো ধরনের অপশক্তিকে মোবকাবিলা করার শক্তি বাংলাদেশের জনগণের রয়েছে।”
এখন দ্রুত রায় বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে ইমরান বলেন, “এরই মধ্যে দুটি রায় কার্যকর করা হয়েছে। আমরা দ্রুত আলী আহসান মুজাহিদ এবং সাকা চৌধুরীর ফাঁসির রায় কার্যকর দেখতে চাই।”
আগের ঘোষণা অনুযায়ী গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা সকাল ৮টা থেকেই শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে জড়ো হতে থাকেন। আপিল বিভাগের রায়ের পর উল্লাসে ফেটে পড়েন তারা।
যুদ্ধাপরাধের প্রতিটি রায়ের পর গণজাগরণ মঞ্চ বিজয় মিছিল করলেও ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে’ এবার তা করা হয়নি বলে জানান ইমরান।
তিনি বলেন, “মাননীয় আদালত তার অবজারভেশনে বলে যে, কোনো ধরেন প্রতিক্রিয়া যাতে দেখানো না হয়। সে কারণেই আমার আনন্দ মিছিল বাতিল করেছি।”
মিছিল না হলেও ‘জয় হল রে জয় হল/ শাহবাগের জয় হল’, ‘জয় হলরে জয় হল/ সাকার ফাঁসি হল’ এবং যুদ্ধাপরাধবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা যায় গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের।
ইমরান বলেন, “আদালত যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে নিষেধ করেছেন, একইভাবে যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দোসররা যেভাবে আদালতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে সে বিষয়ে আরও বেশি সচেতন হবে বলে আশা করছি।”
তিনি বলেন, গণজাগরণ মঞ্চ কোনো অপরাধীর রায়কে ‘প্রভাবিত করেছে না’ বরং ন্যায়বিচার পাওয়ার আন্দোলন করে যাচ্ছে।
সাকার ফাঁসির রায় বহাল রাখা দাবিতে কামাল পাশা চৌধুরী নেতৃত্বাধীন গণজাগরণ মঞ্চের আরেকটি অংশও সকালে শাহবাগে অবস্থান নেয়।
রায়ের পর সন্তোষ প্রকাশ করে কামাল পাশা দ্রুত তা কার্যকরের দাবি জানান।