মঙ্গলবার সিসিসির সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন তৈরি করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেন। এরপর সড়ক সংস্কারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠান প্রধান নির্বাহী কাজী শফিউল ইসলাম।
কাজী শফিউল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নগরীর ১২০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সড়কগুলো সংস্কার করতে মন্ত্রণালয়ের কাছে ১১২ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।”
বরাদ্দ পেতে দেরি হলেও সিসিসির নিজস্ব তহবিল থেকে সড়ক সংস্কারের কাজ খুব শিগগির শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
“বরাদ্দ না পেলে তো আমরা বসে থাকব না। আমাদের সক্ষমতায় যতদূর সম্ভব ততদূর আমরা কাজ করব। তবে মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ পেলে দ্রুত গতিতে সংস্কারের কাজটা এগিয়ে নিতে পারব।”
গত এক সপ্তাহের টানা বর্ষণে বন্দর নগরীর বিভিন্ন সড়কের বিটুমিন উঠে যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার দরকার বলেও জানান প্রধান নির্বাহী।
নগরীতে ১৩৩টি পাকা সড়কের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০০ কিলোমিটার।
এবারের বর্ষায় নগরীর মোহরা, চাঁন্দগাও, পাঁচলাইশ, জিইসি, পাহাড়তলি, ওয়াসার মোড়, দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, পতেঙ্গা ও শুলকবহর এলাকার অধিকাংশ সড়কে বিটুমিন উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া ঈদের আগের দিন থেকে শুরু হওয়া টানা ভারি বৃষ্টিতে ব্যস্ততম বিমানবন্দর সড়কের সল্টগোলা ক্রসিং, সিমেন্টে ক্রসিং, জাকির হোসেন সড়ক, পোর্ট কানেক্টিং সড়কের নিমতলা, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, হালিশহরের বড়পোল এলাকার অধিকাংশ সড়কের এখন বেহাল দশা।