কক্সবাজারে পাহাড়ের শতাধিক বাড়ি উচ্ছেদ

পাহাড় ধসে পাঁচ জনের মৃত্যুর পর কক্সবাজারে আবার প্রাণহানির আশংকায় ঝুঁকিপূর্ণ শতাধিক বাড়ি উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2015, 04:11 PM
Updated : 28 July 2015, 04:11 PM

মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম।

এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে লোকজনকে সরে যেতে নিদের্শনা দিয়ে বিশেষ প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমদ হোসেন ও সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মাজাহারুল ইসলাম।

বিজিবি ও পুলিশ অভিযান কাজে সহায়তা করে।

এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে হলো কক্সবাজার শহরের কলাতলী, লাইট হাউজ, শুকনাছড়ির মুজিবনগর, কলাতলী জেল গেইট ও ডিককুল।

সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মাজাহারুল ইসলাম জানান, ২টি পৃথক টিম মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শতাধিক বসতঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কক্সবাজার আবহাওয়া কার্যালয়ের উপ-সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, ২৫ জুলাই মঙ্গলাবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলায় মোট বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪৪৫ মিলিমিটার।

নাজমুল বলেন, “বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৯ ও ৩০ জুলাই) মাঝারী থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভবনা রয়েছে। ফলে পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের কারণে অতিরিক্ত পানি বেড়ে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।”

এদিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সভায় শহরের মধ্যে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরানোর ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক অনুপম সাহা।

মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সভায় ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এ কথা বলেন।

ভারী বর্ষণে পাহাড় ধস ও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ওই সভায় তিনি বলেন, পাহাড় ধসের আশংকা রয়েছে এমন জায়গায় একটি বসতিও থাকতে পারবে না।

নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি জানান।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক অনুপম সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এসএম হাবিবুর রহমান হাকিম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ কে আহমদ হোসেন, পৌর মেয়র সরওয়ার কামাল প্রমুখ।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার রাত থেকে কক্সবাজারে টানা ভারি বর্ষণ চলছে। এর মধ্যে সোমবার রাত ২টার দিকে শহরের দক্ষিণ বাহারছড়ার কবরস্থান পাড়ার রাডার স্টেশনের পাহাড় ধসে ৪টি বসত বাড়ির উপর মাটি চাপা পড়ে। এতে মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৫ জনের।