সাকার রায় ঘিরে ‘কঠোর’ নিরাপত্তার প্রস্তুতি

যুদ্ধাপরাধী বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিলের রায় ঘিরে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঢাকা ও তার নিজের এলাকা চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2015, 03:31 PM
Updated : 28 July 2015, 03:31 PM

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রায় ঘিরে শহরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে।

“নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলবে, বসানো হবে চেকপোস্ট। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে পুলিশ সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবে। শহরজুড়ে থাকবে গোয়েন্দা নজরদারি।”

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ঘিরে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর বা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা হলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।

“যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেন কেউ তৈরি করতে না পারে সেজন্য ঢাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে।” 

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর এলাকা চট্টগ্রামেও থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা। সেখানে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নামানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নগরীতে যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, রায়ের দিন নগরীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে তল্লাশি চৌকি বসানো হবে।

সালাউদ্দিন কাদেরের পৈত্রিক এলাকা রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারি, ফটিকছড়ি ও বোয়ালখালী উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি টহল জোরদার করা হচ্ছে বলে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) নাঈমুল হাসান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন,  “জেলা পুলিশের আড়াই হাজার সদস্যের বাইরে এপিবিএন, শিল্প পুলিশ ও আরআরএফ থেকে অতিরিক্ত আরও এক হাজার পুলিশ সদস্যকে আনা হয়েছে।”

রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি এলাকায় সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদের এবং তার নির্যাতনের শিকারদের বাড়ি ও এলাকায় পুলিশের নজরদারি থাকবে বলে জানান তিনি।

‘স্পর্শকাতর’ এলাকাগুলোতে মোতায়েনের জন্য বিজিবি চাওয়া হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।