কালো ব্যাচ নিয়ে কাজে বিএমডিএ কর্মীরা

সাময়িক কর্মবিরতি স্থগিত করে কালো ব্যাচ পরে কাজে যোগ দিয়েছেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2015, 02:45 PM
Updated : 28 July 2015, 02:45 PM

মঙ্গলবার অফিস সময়ে তারা দাপ্তরিক কাজ শুরু করেন।

কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব ও সহকারী প্রকৌশলী জিএফএম হাসনুল ইসলাম বলেন, নির্বাহী পরিচালক কামাল উদ্দিনের আশ্বাসের ভিত্তিতে তারা আগামী ৪ অগাস্ট পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করে কাজে যোগ দিয়েছেন।

“এ সময় পর্যন্ত তারা কালো ব্যাচ ধারণ করে অফিস করবেন।”

৪ অগাস্টের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আবার আন্দোলনে যাবেন বলে জানান তিনি।

এদিকে, দুইদিন পর নিজ দপ্তরে গেছেন বিএমডিএ-এর সচিব দেওয়ান আব্দুস সামাদ।

মঙ্গলবার সকালে তার দপ্তরের তালা খুলে দেওয়ার পর তিনি অফিসে যান।

গত রোববার তার গাড়ি বন্ধ করে দেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরদিন সকালে আবার তার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

সরকারি আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করার প্রেক্ষিতে সচিবের অপসারণসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার থেকে আন্দোলনে নামেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সোমবার সকাল থেকে এক হাজার ১৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকল দাপ্তরিক কাজ বন্ধ করে দেন।

এদিকে, দপ্তরে তালা দেওয়া ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বিএমডিএ-এর সচিব দেওয়ান আব্দুস সামাদ।

সোমবার সন্ধ্যায় তিনি নগরীর রাজপাড়া থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন।

রাজপাড়া থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, অভিযোগটি জিডি হিসেবে রেকর্ড করে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

তদন্তে হুমকিদাতাকে সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান ওসি।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে বরেন্দ্র এলাকার উন্নয়নে পরিকল্পনা, প্রকল্প প্রণয়ন ও বা¯Íবায়নের জন্য ১৯৯২ সালে বিএমডিএ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে সেখানে এক হাজার ১৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন।

২০১১ সালে প্রথম উপ-সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাকে বিএমডিএ-এর সচিব নিয়োগ দেয় সরকার।

যোগদানের পর সরকারি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, পদোন্নতি, সিনিয়র স্কেল, গৃহনির্মাণ ঋণ ও জনবল নিয়োগ বন্ধ করে দেন সচিব।

গত ২২ জুলাই কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ গঠন করে ২৬ জুলাই থেকে পাঁচদফা দাবিতে দাবিতে আন্দোলনে নামেন তারা।