সোমবার বিকাল থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত পাঁচলাইশ থানার বেবী সুপার মার্কেট ও আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। একই সময় এক তরুণীকেও উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. শাহাবউদ্দিন ওরফে বাচ্চু (৪৫), তার স্ত্রী শেলী আক্তার (৩৪), মো. সেলিম (৪৮), মো. ওসমান (৩৪), মিনহাজ উদ্দিন এনাম (২৯) ও শারমিন আক্তার (২৬) ।
গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গোয়েন্দা) এসএম তানভীর আরাফাত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গ্রেপ্তাররা মোবাইল ফোনে কথা বলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে লোকজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করে আসছিল।
নগরীর বিভিন্ন থানায় এ ধরনের চারটি মামলাসহ নয়টি অভিযোগ গোয়েন্দা পুলিশের কাছে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ২১ জুলাই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে এই ধরনের একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
অভিযানের নেতৃত্বদানকারী গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রাজেশ বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গ্রেপ্তার শারমিন বিভিন্ন ব্যক্তিকে মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বেবী সুপার মার্কেট এলাকায় শাহবুদ্দিনের বাসায় নিয়ে যেত।
“সেখানে শাহাবুদ্দিন তার স্ত্রী শেলীকে দিয়ে ফাঁদে পড়া লোকটির সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলে অর্থ আদায় করত।”
এসআই রাজেশ আরও জানান, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে এ ধরনের প্রতারণায় জড়িত আরও পাঁচ-ছয় জনের একটি তালিকা পাওয়া গেছে।
শাহাবউদ্দিনের বিরুদ্ধে হালিশহর থানায় একটি হত্যা মামলা ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বেবী সুপার মার্কেটে শাহাবুদ্দিনের বাসা থেকে উদ্ধারকৃত তরুণীকে উদ্ধৃত করে রাজেশ বলেন, “গত ২৫ জুন তার কর্মস্থল থেকে বড়পুল এলাকায় বাসায় নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে তার পূর্বপরিচিত সাগর নামে একজন অটোরিকশা চালক তাকে অপহরণ করে।”
“অটোচালক সাগর তাকে বাসায় নামিয়ে না দিয়ে শাহাবুদ্দিনের বাসায় নিয়ে আটকে রাখে। সেখানে শাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী তাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করত।”