মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নুর এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।”
চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৬ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা কনটেইনারটি সিলগালা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
গত ৮ জুন বন্দরে আসা একটি কনটেইনারের ১০৭টি ড্রাম সূর্যমুখী তেলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
কায়িক পরীক্ষায় কোকেনের অস্তিত্ব না পেলেও ঢাকার কয়েকটি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা শেষে ২৭ জুন একটি ড্রামে কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়ার ঘোষণা দেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
এরপর ২৮ জুন বন্দর থানার এসআই ওসমান গণি বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ এর ১ (খ) ধারায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও কর্মচারী গোলাম মোস্তফা সোহেলকে আসামি করে মামলা করেন।
আগে থেকে আটক গোলাম মোস্তফা সোহেলকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এরপর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান খান, মোস্তফা কামাল এবং শিপিং এজেন্ট প্রতিষ্ঠান কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) এ কে আজাদকে।
১২ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মেহেদী আলম নামের এক আইটি বিশেষজ্ঞকে। সর্বশেষ ১৪ জুলাই সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
৮ জুলাই আদালতের আদেশে পুনরায় গোয়েন্দা পুলিশ ১০৭টি ড্রামের নমুনা সংগ্রহ করে গোয়েন্দা পুলিশ।
ওই দিনই নমুনা আদালতে হাজির করা হলে মহানগর হাকিম ফরিদ আলম পুনরায় এসব নমুনা ঢাকা সেনানিবাসের আর্মড ফোর্সেস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ ল্যাবরেটরি, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরীক্ষাগার ঢাকা এবং সিআইডি’র ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার আদেশ দেন।
সর্বশেষ ১৪ জুলাই আদালত মামলায় আদালত চোরাচালানের ধারা সংযোজনের নির্দেশও দেন।