মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ শিশুটির চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড

মাগুরায় পাঁচ দিন আগে যুবলীগের সংঘর্ষের সময় মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ শিশুটির চিকিৎসায় নয় সদস্যের একটি ‘মেডিকেল বোর্ড’ গঠন করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2015, 10:54 AM
Updated : 28 July 2015, 10:54 AM

মেডিকেলের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান আশরাফুল হক কাজল মঙ্গলবার জানান, নবজাতক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আবীদ হোসেন মোল্লাকে এই বোর্ডের প্রধান করা হয়েছে।

ডা. আশরাফুল বলেন, “শিশুটি সময়ের আগেই জন্ম নিয়েছে, এর একটা জটিলতা তো আছেই। তার ওপর গুলি লেগেছে। তবে এ মহূর্তে অবস্থা স্থিতিশীল।”

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২৩ জুলাই বিকালে মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় এলাকায় যুবলীগকর্মী কামরুল ভূইয়ার সঙ্গে সাবেক যুবলীগকর্মী মহম্মদ আলী ও আজিবরের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।

এসময় এলাপাতাড়ি গুলিতে কামরুলের বড় ভাই বাচ্চু ভুইয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০), প্রতিবেশী মিরাজ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন এবং তার চাচা আব্দুল মোমিন গুলিতে মারা যান।

সেদিন রাতেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নাজমার গুলিবিদ্ধ শিশু পৃথিবীর আলো দেখে। দুদিন পর রোববার ভোরে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয় ।

মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. আশরাফুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মায়ের গর্ভে ৪০ সপ্তাহ থাকার পর একটি শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার জন্য পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়। কিন্তু এ শিশুটিকে ভূমিষ্ট করানো হয় ৩৪ সপ্তাহে। ফলে এমনিতেই শিশুটি দুর্বল অবস্থায় জন্ম নিয়েছে।

“একটি গুলি শিশুটির বুকের ডানদিক দিয়ে ঢুকে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। তবে শরীরের ভেতরে কোনো বড় সমস্যা হয়নি। তাছাড়া শিশুটির ডান চোখ, পিঠ, গালসহ পাঁচ জায়গায় ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। মায়ের পেটে গুলি ঢোকার পর ঘুরপাক খাওয়ায় শিশুটিও আহত হয়।”

শিশুটিকে সারিয়ে তুলতে ‘সর্বাত্মক’ চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।