মঙ্গলবার দুপুরে সুমন দাস নামের ওই যাত্রীকে আটক করা হয় বলে জানান যশোর ২৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহঅধিনায়ক মেজর লিয়াকত হোসেন।
সুমন দাস চট্টগ্রামের পাথরঘাটা এলাকার রতন দাসের ছেলে।
মেজর লিয়াকত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, একজন পাসপোর্টধারী যাত্রী বৈধভাবে বিদেশ থেকে দেশে আসার সময় একশ গ্রাম স্বর্ণ ও গহনা আনতে পারে। তবে দেশ থেকে বিদেশে যাওয়ার সময় দশ গ্রামের বেশি স্বর্ণালংকার নিয়ে যেতে পারে না।
সেই হিসাব অনুযায়ী সুমনের কাছে নয় ভরি স্বর্ণালংকার (দশ গ্রামের বেশি) থাকায় তাকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি আসলাম খান বলেন, ব্যবহার্য স্বর্ণালংকারের ক্ষেত্রে এই ধরনের কোনো বিধি নিষেধ নেই, তবে ইচ্ছা করলে ‘ঘোষণা’ দিয়ে নেওয়া যায়।
সুমন জানান, “দীর্ঘদিন বিদেশে থাকায় স্বর্ণালংকার আনা-নেওয়ার বিষয়ে শূল্ক বিভাগের রীতি-নীতি আমার জানা ছিল না।”
তিনি আরও বলেন, ১২ বছর পর মধ্যপ্রাচ্যে থেকে তিনি দেশে ফিরেছেন। স্ত্রী ও সন্তানরেরা কলকাতায় থাকায় তিনি সেখানে যাচ্ছিলেন।