মিরসরাই ট্র্যাজেডি: সাজাভোগ শেষে মুক্ত ট্রাকচালক মফিজ

পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রাক উল্টে ৪৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় সাজাভোগ শেষে মুক্তি পেয়েছেন ট্রাকচালক মফিজুর উদ্দিন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2015, 07:43 AM
Updated : 28 July 2015, 08:45 AM

মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে মফিজকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মনিরুল ইসলাম।

মিরসরাই ট্র্যাজেডির ঘটনায় দুটি ধারার মামলায় মোট ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছিল মফিজের। এছাড়া তাকে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও নয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০১১ সালের ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফরিদা ইয়াছমিন এই রায় দেন।

বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে মৃত্যু ঘটানোয় মফিজকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়া বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে যাত্রী জখম করায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, আনাদায়ে তিন মাসের দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

কারা কর্মকর্তা মনিরুল বলেন, “জেল কোড অনুযায়ী সশ্রম কারাদণ্ডের ক্ষেত্রে মোট সাজার এক চতুর্থাংশ মওকুফ হয়। মওকুফ সময় বাদ দিয়ে মূল সাজা শেষে জরিমানা অনাদায়ের সাজা শুরু হয়েছিল মফিজের।”

“২০ হাজার টাকা জরিমানা পরিশোধের কাগজপত্র আদালতের মাধ্যমে সোমবার রাতে কারাগারে আসলে মঙ্গলবার সকালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।”

২০১১ সালের ১১ জুলাই মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া-আবু তোরাব বাজার সংযোগ সড়কের সৈদালী এলাকায় স্কুলছাত্রদের বহনকারী একটি মিনিট্রাক উল্টে রাস্তার পাশের ডোবায় পড়ে গেলে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে চিকিতসাধীন অবস্থায় আরও ছয়জন মারা যায়।

নিহতদের মধ্যে ৪৩ জনই ছিল স্কুলছাত্র। আবু তোরাব এলাকার তিনটি বিদ্যালয়ের এসব শিক্ষার্থী মিরসরাই স্টেডিয়ামে খেলা দেখে বাড়ি ফিরছিল।

দুর্ঘটনার পর গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, মফিজ আসলে ট্রাকচালকের সহকারী ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন।

এ ঘটনায় মায়ানি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কবির নিজামী মফিজকে আসামি করে মিরসরাই থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ ওই বছরের ২১ জুলাই বরিশাল থেকে মফিজকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরসরাই থানার সেসময়ের পরিদর্শক (তদন্ত) অং শা থোয়াই একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আর ৩০ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার শুরু হয়।