ভারতের একাদশ রাষ্ট্রপতি আব্দুল কালাম সোমবার একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।
রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব মো. জয়নাল আবেদীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এক শোকবাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে বিশ্ববাসী একজন কৃতি পরমাণু বিজ্ঞানীকে হারাল।
“পরমাণু বিজ্ঞানে আব্দুল কালামের অবদান বিশ্ববাসী চিরদিন স্মরণ করবে।”
অ্যারোনটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আব্দুল কালামের অবদানও স্মরণ করেন আবদুল হামিদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন বলে জানান তার প্রেসসচিব ইহসানুল করিম।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঠানো এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট কালামের মাঝে আমরা দেখেছিলাম রাষ্ট্রনায়ক, প্রথিতযশা বিজ্ঞানী, স্বতস্ফূর্ত একজন লেখকের অনবদ্য সম্মিলন। ভারতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতিতে তার অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার তরুণদের অনুপ্রেরণার উৎস।”
এ পি জে কালামের মৃত্যু শুধু ভারতেরই নয়, বিশ্ববাসীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
এক শোক বার্তায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, “এ পি জে আব্দুল কালাম রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মৈত্রী ও বন্ধনকে এক মযার্দাপূর্ণ স্থানে উন্নীত করেছিলেন।
“অবসর নেওয়ার পরও তিনি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন, মানুষের হৃদয়কে জয় করেছিলেন। আমি তার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাভিভূত।”
এ পি জে কালামের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ও সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজও গভীর শোক জানিয়েছেন।
এক শোকবাণীতে স্পিকার বলেন, “ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম ছিলেন সারাবিশ্বের জ্ঞানের বাতিঘর। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ হারিয়েছে তার একজন অকৃত্রিম বন্ধুকে, আর বিশ্ব হারিয়েছে একজন জ্ঞানের সাধককে।”
এই পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
“ভারতের বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়ন ও আনবিক আগ্রগতিতে আব্দুল কালামের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে স্মরণ করবে অত্যন্ত মর্যাদার সঙ্গে।”