সোমবার এ ঘটনায় নিহত উর্মি খাতুন (২০) সদর উপজেলার আলোকদিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের শিহাব উদ্দিনের স্ত্রী ও চন্দ্রকোনা গ্রামের আসাদ খানের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে।
সোমবার সদর থানার উপ-পরিদর্শক ইমাম জাফর জানান, ঘটনাস্থল থেকে সন্ধ্যায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। নিহতের গলায় দাগ রয়েছে। ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্ত ছাড়া নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না।
ঘটনার পর নিহতের শ্বশুর ছাড়া স্বামীসহ পরিবারের অন্যরা পালিয়ে যায়। উর্মি স্বজনরা তার শ্বশুর সাইফুল ইসলামকে পুলিশে সোর্পদ করে। তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
নিহতের চাচা ইমরান খান জানান, এক বছর আগে উর্মির বিয়ে হয়। সে সময় শিহাব পোশাককারখানায় চাকরি করত। রোজার আগে চাকরি ছেড়ে বাড়ি ফেরে সে।
এরপর থেকেই দোকান করার জন্য স্ত্রীর কাছে টাকা দাবি করতে থাকে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রীকে মারপিট করে সম্প্রতি বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
রোববার রাতে নিহতের শ্বশুর পুত্রবধূকে বাড়ি নিয়ে যায়। সোমবার দুপুরে তার মৃত্যুর সংবাদ আসে।
যৌতুক না পেয়ে শিহাব ও তার পরিবারের লোকরা শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে উর্মির পরিবারের লোকজন মনে করছেন।