প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের বেতন জটিলতা

দেড় বছর আগে পদমর্যাদা বাড়লেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এখনও নতুন স্কেলে বেতন পাচ্ছেন না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৬০ হাজার প্রধান শিক্ষক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 July 2015, 02:05 PM
Updated : 27 July 2015, 03:24 PM

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘ছাড়পত্র’ না মেলায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হয়েও তৃতীয় শ্রেণির স্কেলেই বেতন পাচ্ছেন এসব শিক্ষক।

গত বছরের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদায় উন্নীতের ঘোষণা দেন।

একই দিন শিক্ষকদের পদমর্যাদা বাড়ানোর সঙ্গে বেতন স্কেল উন্নয়ন করে আদেশ জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক রিয়াজ পারভেজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দিয়ে প্রধান শিক্ষকদের ছয় হাজার ৪০০ টাকা স্কেল নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও এখনও কোনো শিক্ষকই ওই স্কেলে বেতন পাচ্ছেন না।

“শিক্ষকদের নামে আলাদা আলাদ গেজেট না হওয়ায় নতুন স্কেলে বেতন পাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।”

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও বিষয়টি সুরাহা হয়নি জানিয়ে রিয়াজ বলেন, “৩১ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সবার সমানে বিষয়টি তুলে ধরবেন তারা।”

শিক্ষকদের বেতন নিয়ে জটিলতায় অর্থ মন্ত্রণালয়, হিসাব মহা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মধ্যে কয়েকদফা চিঠি চলাচালি হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

বিষয়টি স্বীকার করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জটিলতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফাইল পাঠানো হলেও ফাইল ফেরত দিয়ে এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অ্যাপ্রুভাল নিতে বলা হয়েছে।”

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নথিপত্র পাঠানো হলেও তাতে এখনও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলেই শিক্ষকদের নামে নামে আদেশ জারি করা হবে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব জ্ঞানেন্দ্র।

তিনি বলেন, “এরপরই তারা নতুন স্কেলে বেতন পাবেন।”

বাংলাদেশে প্রায় ৬০ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন প্রধান শিক্ষক রয়েছেন।