আহতরা হচ্ছে শালবন গ্রামের মুসলিম উদ্দিন পিসির ছেলে আক্তার হোসেন (২৬), কাউসার (৫) এবং মুন্নি আক্তার (১৭)।
শনিবার বিকালে ঘটনার পর তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে আহতদের অবস্থা আশংকামুক্ত বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সনজীব ত্রিপুরা।
আহতদের বাবা মুসলিম উদ্দিন জানান, বিকালে মধ্য শালবন এলাকায় পাহাড়ের অংশ তার ঘরের উপর পাহাড় ধসে পড়ে। এতে তার ছেলে আক্তার হোসেন, কাউসার এবং মেয়ে মন্নি আক্তার মাটি চাপা পড়ে।
এলাকাবাসীর চেষ্টায় আধ ঘণ্টা পরে তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলার ইসলাম উদ্দিন জানান, টানা বর্ষণে জেলা সদরের শালবাগান, হরিনাথপাড়া, আদর্শ গ্রাম সবুজবাগ, কুমিল্লা টিলা এবং মধ্য শালবনসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০টি পরিবার। এছাড়া ঝুঁকির মধ্যে রযেছে শতাধিক পরিবার।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম জানান, ধসের ঘটনার পরে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদেরকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। অপরদিকে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
এদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জান তাদেরকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, “ পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসতি নির্মাণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরও যেসব অসহায় লোকজন বসবাস করছে তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে প্রশাসন সহযোগিতা করবে। ”