বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভারতে ব্যান্ডউইডথ রপ্তানির জন্য প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ।
“ভারতের সাথে সংযোগে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) কেবল স্থাপনের কাজ করছে এবং এই কাজ আগামী মাসে সম্পূর্ণ হবে।”
মনোয়ার হোসেন জানান, আখাউড়া পর্যন্ত এ কেবল যাওয়ার পর সেখানে ম্যানহোল করা হবে, যেখানে আগরতলা থেকে আসা কেবল সংযুক্ত হবে।
দুই দেশের মধ্যে ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ ম্যানহোলে এ সংযোগ হওয়ার পরই আনুষ্ঠানিকভাবে রপ্তানি শুরু হবে বলে জানান তিনি।
আগামী ১৫ অগাস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরে গত ৬ জুন ব্যান্ডউইডথ রপ্তানিতে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল) এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) মধ্যে এই চুক্তি হয়।
এ চুক্তি অনুযায়ী ১০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লিজে সরবরাহ করা হবে। এতে বাংলাদেশ বছরে বৈদেশিক মুদ্রায় ৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা পাবে (এক দশমিক দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
চুক্তির মেয়াদ হবে তিন বছর। চুক্তি অনুসারে ভারতের চাহিদা অনুযায়ী ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি ৪০ জিপিবিএস পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
বাংলাদেশের একমাত্র সাবমেরিন কেবল সি-মি-ইউ-৪ এর কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আখাউড়া হয়ে আগরতলা দিয়ে এ ব্যান্ডউইথ রপ্তানি হবে।
বর্তমানে ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথসহ সাবমেরিন কেবলে (সি-মি-ইউ-৪) সংযুক্ত আছে বাংলাদেশ, যার মধ্যে প্রায় ৩০ জিবিপিএস ব্যবহৃত হচ্ছে। অব্যবহৃত থেকে যায় ১৭০ জিবিপিএস।
আগামী বছর ডিসেম্বরে একটি কনসোর্টিয়ামের আওতায় সি-মি-ইউ-৫ বা দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে সংযুক্ত হবে বাংলাদেশ। এর ফলে অতিরিক্ত ১ হাজার ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ পাবে বাংলাদেশ।
ভারতে ব্যান্ডউইডথ রপ্তানির চুক্তিকে একটি ‘উইন-উইন সিচুয়েশন’ বলে মনে করছে সরকার।
বাংলাদেশ অব্যহৃত ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা পাচ্ছে। আর ভারত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে খুব সহজেই ইন্টারনেট পাচ্ছে, যে সংযোগ তাদের মুম্বাই থেকে আনতে হত।