বিশ্বের আর্থিক খাতের এই দুটি মোড়ল প্রতিষ্ঠান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ধীরে ধীরে ভালর দিকে গেলেও ইউরো জোনের অর্থনীতির গতি পুনরুদ্ধারে আরও সময় লাগবে।
এ কারণে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সতর্ক পর্যবেক্ষণে রাখতে সদস্য দেশগুলোকে পরামর্শ দিয়েছে সংস্থা দুটি।
বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ এর বার্ষিক সাধারণ সভার দ্বিতীয় দিনে উন্নয়ন কমিটির গুরুত্বপূর্ন বৈঠকে এই দুই সংস্থার প্রধানসহ নীতি নির্ধারকরা উন্নয়নশীল দেশগুলোর নিজস্ব সম্পদ বৃদ্ধি ও চাহিদা সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ইউরো জোনের অর্থনীতি এখনো মন্দার ঝুঁকি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। জাপানকে এখনো লড়াই চালাতে হচ্ছে, এমনকি চীনের অর্থনীতির গতিও কিছুটা কমে এসেছে।
বিভিন্ন দেশে বেকারত্বের উচ্চ হারের বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে বাজেট তড়িঘড়ি না কমানোর পরামর্শ দিয়েছে সংস্থা দুটি।
আইএমএফ ইতোমধ্যে চলতি বছর বিশ্বে জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৩ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।
অবশ্য বাংলাদেশের মতো কম আয়ের দেশগুলো ৬ শতাংশ বা তার বেশি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারবে বলেই মনে করছেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লগার্ড।
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অবশ্য ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে সন্তুষ্ট নন। তিনি বলেছেন, “আমরা ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতেই আটকে আছি। অনেক চেষ্টা করেও ৭ শতাংশে যেতে পারছি না। বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে ৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে আমারে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াতে হবে।”
শনিবার বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমের সভাপতিত্বে বিশ্ব বাংক ও আইএমএফ উন্নয়ন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠক হয়।
বৈঠকে এ দুই সংস্থার ১৮৮টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকলেও ২৭টি অঞ্চল থেকে ২৭ জন প্রতিনিধি বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পান। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা এলাকার পক্ষে বক্তব্য দেন ভারতের অর্থসচিব।
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত উপস্থিত থাকলেও বৈঠকে তিনি কোনো বক্তব্য দেননি।
বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার না থাকলেও ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে তা টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়।